বাঁশখালী প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের দক্ষিণ চাম্বল সোনারখিলে প্রকাশ্যে চলছে পাহাড় কাটা। খবর পেয়ে ছদ্মবেশে অভিযান চালালেন ম্যাজিস্ট্রেট। এরপরও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান পাহাড় খেকোরা।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বাঁশখালী উপজেলার চাম্বলের সোনারখীলে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার খবর পেয়ে ছদ্মবেশে অভিযানে
নামেন বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ওমর ফারুক। এসময় তিনি সাধারণ মানুষের বেশে পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করলে সন্দেহের দানা বাধে পাহাড় খেকোদের। দ্রুত স্থান থেকে পালিয়ে যায় তারা। এরপর পুলিশ ফোর্স আসলেও পাওয়া যায়নি পাহাড় খেকোদের।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ চাম্বলের সোনারখীলে পাহাড়ি উচু টিলাকে নিজেদের দাবি করে পাহাড় কেটে মাটি বিক্রি করছেন অত্র এলাকার পারভেজ, কালাম, ট্রাক ড্রাইভার মানিক, আবুল বশরসহ বেশ কয়েকজন। তারা পাহাড় থেকে মাটি কেটে প্রথমে অত্র এলাকার চেয়ারম্যান ঘাটায় জমায়েত করে।
পরে সেখান থেকে গাড়ি প্রতি ১০০০/১৫০০ টাকা দামে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হয়। এছাড়াও পাহাড় কাটার তথ্য প্রশাসন ও সাংবাদিকের না দেওয়ার জন্য শাসিয়ে দেওয়া হয় এলাকাবাসীদের। তবে পাহাড়টি অত্র এলাকার মোঃ আলমগীরের ব্যাক্তিমালিকানাধীন বলে জানা যায়।
বাঁশখালী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওমর ফারুক জানান, সকালে অফিসে আসলে উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের দক্ষিণ চাম্বলে সোনারখিলে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার খবর পায়। পুর্ব অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে আমি একা ছদ্মবেশে ঘটনাস্থলে যায়। এরপর ঘটনাস্থলে গেলে সন্দেহের বসে আমার উপস্থিতি টের পেলে পালিয়ে যায় তারা। পরে পুলিশ ফোর্স আসলে চারদিকে অভিযান চালিয়েও কাউকেই খুজে পাওয়া যায়নি। এসময় তারা পাহাড়ের দক্ষিণাংশ থেকে প্রায় ১০ ভাগ মাটি কেটে পেলে।
তিনি আরও বলেন, যারা এর সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি পাহার কাটার বিষয়ে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: